নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জ জেলার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৫ বছর ধরে পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল মিয়া (৪৮)’কে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী হতে আটক করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (১৮ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ধর্ষিতা ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এলাকায় বসবাস করত। ভিকটিমের এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়া ভিকটিমকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করতে চাইত। ভিকটিম রাজী না হওয়ায় বিগত ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ সোহেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তী আহত ভিকটিমকে ফেলে রেখে সোহেল মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৭(৩) /০৮, জিআর নং ১২৮ (০২)০৮, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ধারা ৯(১)।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পলাতক থাকে এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম এসে নিজেকে আত্মগোপন করে। গত ১৫ মার্চ ২০২১ তারিখে বর্ণিত মামলায় আসামী মোঃ সোহেল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পয়োয়ানা জারী করে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার ১৫ বছর ধরে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পরওয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৮ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে উক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পরওয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ সোহেল মিয়া (২৫), পিতা-মৃত আইনব আলী, সাং-খিলেরবন্ধ, থানা-কুলিয়ারচর, জেলা-কিশোরগঞ্জ‘কে চট্টগ্রাম মহনগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিন কাট্টলি এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পরওয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।